চীন, সিঙ্গাপুর, জার্মানি ও অষ্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে কারিগরি শিক্ষার হার প্রায় ৬০-৭০%। আমাদের দেশেও কারগরি শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। তাই এখন ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকেই টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজগুলোতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৯ম শ্রেণির আগে ৬-৮ শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রদান করার গুরুত্ব অনেক। এটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য একটি মজবুত ভিত্তি গড়ে তোলে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো :
প্রাথমিক ধারণা তৈরি: ৬-৮ শ্রেণি হলো শিক্ষার্থীদের শেখার ভিত্তি তৈরির সময়। এই সময়ে প্রযুক্তিগত শিক্ষার মাধ্যমে তারা প্রযুক্তি, প্রকৌশল, এবং বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানের প্রাথমিক ধারণা লাভ করে।
সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী চিন্তা: প্রযুক্তিগত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ছোট বয়স থেকেই নতুন কিছু তৈরি বা সমস্যা সমাধানে আগ্রহ বাড়ে।
কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন: এই বয়সে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হলে, তারা বিভিন্ন কারিগরি দক্ষতা অর্জন করতে পারে যা ভবিষ্যতে তাদের জীবনে কাজে লাগবে।
ক্যারিয়ার সচেতনতা: প্রযুক্তিগত শিক্ষা তাদের বিভিন্ন পেশার সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করে। এটি ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীকে সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন করতে সাহায্য করতে পারে।
প্রযুক্তির সাথে পরিচিতি: বর্তমান যুগ হলো প্রযুক্তির যুগ। তাই প্রাথমিক পর্যায় থেকেই প্রযুক্তি সম্পর্কিত শিক্ষা দেওয়া হলে, শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।
সমস্যা সমাধান দক্ষতা: প্রযুক্তিগত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক চিন্তা এবং সমস্যা সমাধান দক্ষতা বাড়ায়, যা শুধু পড়ালেখায় নয়, বাস্তব জীবনেও কাজে আসে।
আত্মবিশ্বাস বাড়ানো: নতুন নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়, যা তাদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সুতরাং, ৯ম শ্রেণির আগে ৬-৮ শ্রেণিতে প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রদান করা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী, কারণ এটি তাদের ভবিষ্যতের প্রস্তুতি এবং ব্যক্তিগত বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনার সন্তানকে ৯ম শ্রেণিতে নয় বরং ৬ষ্ঠ শ্রেণিতেই আমাদের হাতে তুলে দিন। শুভ কামনা!
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস